ফিরে ফিরে যমুনা ও তমালে

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়



রাধামাখা সন্ধ্যা । কীর্তন গুছিয়ে নিচ্ছে মালা ও চন্দন । খোল কর্তালে
রসকলি আঁকা হলো । আখর দাও
এই রাত্রির অভিসারে । বাঁশিকে দেখি
কৃষ্ণ আর পূর্বরাগে
পরাগমোচন শব্দটি ফুলের সম্পর্ককে
অবৈধ ভাব দেয় । ভাবনাকে না বলতে পারি না বলেই সে অবাধ্য ।
à¦²à¦•à§à¦·à¦£à¦°à§‡à¦–à¦¾à Ÿà¦¿ পেরোলেই পরকিয়া ।
নোলক ভেঙে যায়
গৌর অঙ্গ চোখের আরাম দেয় পদটির সাথে । চন্দ্রিকাঠছড়িয়ে পড়ে। পাড়াটি ধীরে ধীরে উর্ধ্ববাহà§
হয় । সংসারের রন্ধন পুড়ে যায়
বিষ্ণুপ্রি য়ার কাতরতায়
তর্জা ও যুদ্ধের শেষে ফুলের সুবাসে প্রেম à¦•à§à¦žà§à¦œà¦­à¦™à§à¦—à ‡à¦° পর মাথুর রেখেছে
কিছু কথা কিছু ব্যথা
যেদিন থেকে কিছুটা বোধবুদ্ধি হয়েছে সেদিন থেকে গান ভালোবাসি । আমার বাবা কখনো গান গায় নি মাও। দিদিকে মোটা মায়াদি গান শেখাতে আসতো মায়াবন বিহারিণী হরিণী বা ওগো নদী আপন বেগে পাগল পারা । দিদি মেয়ে দেখা লোকেদের কাছে সেই গান গাইতো ।
কতো রকমের লোক শুধু গান না আরো বলতো চুল খোলো , হেঁটে দেখাও , হাতের লেখা আরো কতো
অত্যাচার । পাশের বাড়িতে থাকতো
আমার ভালবাবা । কোনদিন হারমোনিয়াঠধরেন নি কিন্তু অপূর্ব কন্ঠ আর গায়কি । ভালোবাবা সুকোমল সরকারের দাদা পল্লী মঙ্গলের সুধীর সরকার একজন ভালো গায়ক আর সুরকার ছিলেন । ভালোবাবা গান গেয়ে আমায় ঘুম পাড়াতেন । কতো গান তার কাছে শুনেছি । শচীন কত্তার গান আর জীবন কাহিনী । নজরুলের জীবন আর তার গান বিশেষ করে ভক্তিমূলক অনেক গান তার কাছ থেকেই শোনা । গাইতেন সত্য চৌধুরীর পৃথিবী আমারে চায় কিংবা
জগন্ময় মিত্র বা তালাত মামুদের গান । তার কাছেই আমি শুনেছি গিরিন চক্রবর্তীঠ° সাধক কবি মুকুন্দদাঠের গান । তিনি নিজে লিখতেন গান আর সেগুলো তার অপিসের বিশ্বনাথ
বোসকে দিয়ে গাইয়েছেন । সারদা সংঘের অনুষ্ঠানে তাকে গান গাইতে দেখেছেন অনেকেই । তার গান আর আবৃত্তি আমি অত্যন্ত কোনদিন ভুলতে পারব না । আমার ছোড়দি
গান শিখেছে তপতী চক্রবর্তী , বিশ্বনাথ বোস এবং কুমারডিবি থেকে আসা এক মাষ্টারমশা য়ের কাছে । তার হারমোনিয়াঠের কাছে বসে ভালবেসে ফেলি নজরুল ,রবীন্দ্রনঠ¾à¦¥ রজনীকান্ত , অতুলপ্রসাঠএবং
দ্বিজেন্দৠরলাল প্রভৃতির গানকে । আর রেডিওর অনুরোধ আসর আধুনিক গানকে ভালোবাসতে শেখায় । আমার জ্যাঠতুতো দাদা করুণাদা ছিল প্রকৃত সঙ্গীত রসিক ছোটো বেলা থেকেই । সে নিজেই ভালো গান তবলা বঙ্গ ড্রাম বাজাতো । সে প্রথম বাড়িতে নিয়ে এসেছিল রেকর্ড প্লেয়ার । সেখানে কতো গান । আমার ভালো মার দিদি ছিল হেমন্ত মুখোপাধ্যঠ¾à§Ÿà§‡à¦° প্রথম ছাত্রী আর ভাই
চিরঞ্জিত গুহ ভালো রবীন্দ্র সঙ্গীত গায়ক । তার কাছেই গুরু জর্জ বিশ্বাস এবং দ্বিজেন মুখোপাধ্যঠ¾à§Ÿà§‡à¦° কথা শুনি । আমার পৈতেতে পাওয়া টাকা নিয়ে একটা টেপ রেকর্ডার কেলভিন কোম্পানির কিনি এবং কিছু রবীন্দ্র সঙ্গীতের ক্যাসেট , অনুপ জলোটা কিনি । আমি খুব ছোটতে শোয়া টেপ
রেকর্ডার দেখেছি , রেকর্ড করেছি তখন এইরকম ক্যাসেট ছিল না । পরে ট্যুইশন করতে করতে কিনেছিলাম একটি ফিলিপস টেপ রেকর্ডার আর কলকাতা এলেই Symphony ধর্মতলা থেকে প্রচুর ক্যাসেট পরে এম পি থ্রি সিডি নিয়েছি । কুমারপ্রসঠদের কুদরতি রঙ্গ বিরঙ্গি পড়ে কিনেছি বড়ে গুলাম আলি , আমির খান , রবিশঙ্কর , আল্লারাখা , জাকির হোসেন , হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া , ভীমসেন যোশী মল্লিকার্ঠুন মনসুর , কিশোরী আমেনকার , অজয় চক্রবর্তীঠ° গান । রামকুমার চট্টোপাধ্ঠায় , শ্রীকুমার চট্টোপাধ্ঠায় , সুবীর সেন , অশোকতরু বন্দ্যোপাঠ্যায় প্রভৃতিকে সামনে থেকে শোনার সৌভাগ্য হয়েছে ।
কুলটির অনেক গায়ক গায়িকার সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো ছিল কারণ তাদের অনুষ্ঠানে গ্রন্থনাটঠআমাকেই লিখে পাঠ করতে হতো । কোনো সংস্থার সঙ্গে একবার কলকাতা এসেছিলাম বিরানী ভবনে । সেখানে অরিন্দম গাংগুলির কন্ঠে ভাওয়াইয়া শোনার সৌভাগ্য হয়েছে ।
কুলটিতে তপেশদার দলে তাদের গান , আশুতোষ চক্রবর্তীঠ° গান , বিশ্বনাথ
বোসের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত , অভিজিত , সুমনা সুজিত লায়েকের গান খুবই
মিস করি আজকাল । আরো অনেকের গান এখনও আমার কানে বাজে । আজ মেয়ে হারমোনিয়াà¦
নিয়ে বসলে আর ছেলে তবলা বাজালে ঘর আবার গান পায় । আমি আর আমার পুরনো সঙ্গীদের পাই না । বাগনানে কিছু অনুষ্ঠান হলে তাই ছুটে যাই । এই গান তো কাউকে হত্যার জন্যে নয় আরো জীবন দেওয়ার জন্যে । সুমন চট্টোপাধ্ঠায় তখনও কবীর সুমন হন নি এক নতুন প্রাণের বার্তা পেয়েছিলাম তোমাকে চাই এ । হে গান আজও তোমাকে চাই আমাদের জীবনে ' হাল ছেড়ো না বন্ধু এবার কন্ঠ ছাড়ো জোরে ' তাই আবার বলো ' এ শুধু গানের দিন এ লগন গান শোনার '
কিশোর শুনছে কিশোরের গান । নন্দ্
কিশোর পান । পানীয় শেষ করে তার কি শোর !
গোল । মাল খেলেই হয় । না খেলেও
দেয় । গোলকিপার জানে কতটা একা
সে এবং পিছনের জাল
জড়িয়ে নেয় ক্রমশ । মশা তবুও ডেঙ্গি । ডাঙ্গা ছাড়ছে না । নাছোড়বান্ঠ¦à¦¾ এমন মৃতদের অস্থির করে মৃত
তারপর । দীর্ঘ দেবদারুর পাশে ছায়া ।
ছবি নয় । নয়া কিছু উদ্ভাবনে ব্যস্ত যেন নিজেকেই
ভাঙতে ভাঙতে গান আর থাকে না শুধু পাড় ভাঙার শব্দ জাগিয়ে রাখে